ইউরোপের পাশাপাশি সারা বিশ্বও ভোগ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশে বাড়তে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। হু হু করে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। লাগামহীন নিত্যপণ্যের দরও। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় নিম্নআয়ের মানুষ।
কোভিড মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল বিশ্ব অর্থনীতি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থমকে গেছে অর্থনীতির গতি। আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে বৈশ্বিক মন্দার। সারা বিশ্ব দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের সংকটের কারণে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
সারা বিশ্বের পাশাপাশি এশিয়ারা অনেক দেশে জ্বালানি সংকটের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। বিশেষ করে ভাড়ায়চালিত যানবাহন চালকদের অবস্থা বেশি খারাপ।
ভিয়েতনামের এক নাগরিক বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের আয়-রোজগারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তা হলে সামনের দিনগুলোতে কী হবে বুঝতে পারছি না।
অন্য এক নাগরিক বলেন, এটি আমাদের জন্যই সত্যিই অনেক কষ্টের। করোনা কারণে এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। সত্যি বলতে, আয়ের বেশিরভাগ অংশই এখন খরচ করতে হচ্ছে। সঞ্চয় বলতে আর কিছু নেই।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে চলতি বছরে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ কমতে পারে। এমন অবস্থায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কৃষি খাতকে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বাজারব্যবস্থা।
বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউক্রেন ও রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বিশ্ববাজারে ইউক্রেন যেসব শস্য বড় আকারে রপ্তানি করে তার মধ্যে রয়েছে— সানফ্লাওয়ার অয়েল, ভুট্টা, গম ও বার্লি। অন্যদিকে একই শস্য বিশ্ববাজারে বড় আকারে সরবরাহ করে রাশিয়া।
কিন্তু যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর মানুষ এখন দিশাহারা।
(আহৃত)