শিরোনামঃ
ফরিদপুর কুমার নদ থেকে উদ্ধার হল শিশুর মরদেহ ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান ৮৪ শতাংশ (গবেষণা জরিপের ফল প্রকাশ) ফরিদপুরে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয়  বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস পালিত বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ফরিদপুর জেলা শাখার সভা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত প্লটসহ রাজউকের সকল অবৈধ বরাদ্দ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫ রাষ্ট্রপ্রতির দুবাই কানেকশন নিয়ে চলছে নানা কৌতূহল ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা দুই কারিকুলাম সমন্বয় ষষ্ঠ-নবমের সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো প্রস্তুত, শীঘ্রই কার্যক্রম শুরু বিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে ফরিদপুরের বৈশাখী নাট্যগোষ্ঠীর নাটক তোতা কাহিনী অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বাংলাদেশির মৃত্যুতে ভারতকে কড়া প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ফরিদপুরে ওলামা মাশায়েখ এর সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফরিদপুরে কোটা আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের মাদক এলএসডি উদ্ধার ফরিদপুরে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের উদ্যোগে দাওয়াতি মিছিল  ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতির সেবা দিবস পালিত ফরিদপুরে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চর টেপাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাজাহান আলমের বিদায় সংবর্ধনা
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
Update : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

Spread the love

মূল্যস্ফীতি বাড়লেও আগামী বাজেটে (২০২২-২৩) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য সুখবর নেই। আগের নিয়মেই বছরে ৩ লাখ টাকা আয় হলে আয়কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের পরিবর্তে বাজেটে বিত্তশালীদের স্বস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে।

সারচার্জ বা ‘সম্পদ কর’ হারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। অপরদিকে ক্ষুদ্র হাঁস-মুরগির খামারিদের কর বাড়ানো হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানো হয় ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই সময় করমুক্ত আয় সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়।

এনবিআর মনে করে, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়লে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী আয়করের আওতার বাইরে চলে যাবে। মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মানুষের আয়ও বেড়েছে। তাই সীমা বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করে না সংস্থাটি। যদিও ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কাছ থেকে খুবই সামান্য আয়কর আদায় হয়ে থাকে।

বর্তমানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের ৫ হাজার টাকা, অন্য সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা এবং অন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের করদাতাদের জন্য ৩ হাজার টাকা ন্যূনতম আয়কর দিতে হয়।

অন্যদিকে বাজেটে বিত্তশালীদের সম্পদের ওপর কর হার আগের মতোই রাখা হচ্ছে। সম্পদের মোট মূল্য ৩ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জ দিতে হবে না। এছাড়া সম্পদের মূল্য ৩ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা মধ্যে থাকলে বা নিজ নামে একাধিক গাড়ি থাকলে প্রদেয় করের ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে। সম্পদের মূল্য ১০ থেকে ২০ কোটি টাকার মধ্যে থাকলে প্রদেয় করের ২০ শতাংশ, ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে থাকলে ৩০ শতাংশ এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ থাকলে প্রদেয় করের ৩৫ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে।

সারচার্জ বা সম্পদ কর হচ্ছে একধরনের মাশুল, যা ব্যক্তির সম্পদের দলিলমূল্যের ওপর আদায় করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান শাসনামলে সম্পদ কর (ওয়েলথ ট্যাক্স) চালু করা হয়। সেটি স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল। ১৯৮৮ সালে সরকার স্থায়ীভাবে সারচার্জ আদায় করতে অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে ১৬এ ধারা যুক্ত করে। বর্তমানে এ ধারা অনুযায়ী সারচার্জ আদায় করা হচ্ছে। পরবর্তীতে নানামুখী চাপে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে সেটি প্রত্যাহার করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে সেটি পুনরায় চালু করা হয়।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, পলিসিগত দুর্বলতার কারণে সারচার্জ একেবারে সামান্য আদায় হয়। বাজেটে রেট বাড়ানো হলো, নাকি অপরিবর্তিত রাখা হলো সেটা মুখ্য বিষয় নয়। এর চাইতে বড় বিষয় হলো, বর্তমানে যে পলিসিতে সারচার্জ আদায় করা হচ্ছে তাতে গলদ আছে।

দলিলমূল্যের ওপর সারচার্জ আদায় করায় গুলশান-বনানীর অনেক বাসিন্দা সারচার্জের বাইরে থাকছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান মৌজামূল্যের ওপর সারচার্জ আদায় করা গেলে অনেক বেশি কর আদায় সম্ভব হতো। এ জন্য সারচার্জ আদায় পদ্ধতির সংস্কার দরকার আছে।

এদিকে ছোট হাঁস-মুরগির খামারিদের কর বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে হাঁস-মুরগির খামারের মালিকদের ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এটি কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর থেকে খামারের বার্ষিত আয় ১০ লাখ টাকা পার হলেই আয়কর দিতে হবে। এছাড়া আগের নিয়মেই হাঁস-মুরগি, চিংড়ি ও মাছের হ্যাচারি এবং মৎস্য চাষ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর দিতে হবে।

সূত্রগুলো জানায়, আগামী অর্থবছর থেকে সব ধরনের মৎস্য, পোলট্রি ও কৃষি আয়ের ওপর অভিন্ন কর হার চালু হচ্ছে। প্রথম ১০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকছে। পরবর্তী ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ) আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে, পরবর্তী ১০ লাখ টাকা (মোট ৩০ লাখ টাকা) আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের (৩০ লাখ টাকার বেশি আয় হলে) ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে হবে।

এনবিআরের কর্মকর্তা বলছেন, বিদ্যমান আয়কর বিধান অনুযায়ী, ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার ২৫ শতাংশ। হাঁস-মুরগির খামার থেকে আয়ের বড় একটি অংশ করমুক্ত থাকায় রিটার্নে এ খাতে আয় দেখানোর প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা বন্ধে কৃষি খাতের কর কাঠামো সমন্বয় করা হচ্ছে।

(আহৃত)


Spread the love


এই বিভাগের আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১