আবহমান বাংলার কবি জসীমউদ্দীনের স্মরণে ফরিদপুরে চার বছর বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে ‘জসীম পল্লি মেলা’। রোববার সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম।
জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের বাড়িসংলগ্ন জসীম উদ্যানে কুমার নদের পাড়ে পক্ষকালব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ মে শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হবে ৩১ মে। মেলায় বিভিন্ন চারু ও কারুপণ্যের ১৫৩টি স্টল রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমি কবির মূল্যায়ন করে শেষ করতে পারব না। তাঁকে পল্লিকবি বললে কম বলা হবে, তিনি সাহিত্যের একজন বড় দিকপাল ছিলেন। সাহিত্যের অঙ্গনে তাঁর বিচরণ ছিল। তাঁকে নিয়ে আলোচনা করার ধৃষ্টতা আমার নাই। আবহমান বাংলার ধারক ছিলেন তিনি। আপনারা ভাগ্যবান যে এক জেলায় জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী ও কবি জসিমউদ্দীনের মতো মানুষ জন্ম নিয়েছেন। এ মাটির বিশেষ গুণ আছে।’
পদ্মা সেতু চালু হলে এ এলাকার উন্নয়ন আরও হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, এ এলাকার উন্নয়নের জন্য ফরিদপুরকে স্পেশাল ইকোনমিক জোন করা হবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, কবির বাড়ির পেছনে জসিম সংগ্রহশালাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কবিকে জীবন্ত রাখতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে জীবিত রাখতে হবে। সংগ্রহশালায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রশাসক শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার জসীমউদ্দীন, হা–মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিজভী জামান প্রমুখ।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার বলেন, প্রতিদিন মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে জসীম মঞ্চে গান, নাচ, নাটকসহ বিভিন্ন লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে ফরিদপুরের ৫০টি এবং অন্য ৬টি জেলার মোট ৫৬টি সাংস্কৃতিক দল অংশ নেবে।
আগামী বছর থেকে ‘জসীম পল্লি মেলা’ আগের সময়সূচি (১ জানুয়ারি) অনুযায়ী আয়োজন করা হবে বলে জানান দীপক কুমার রায়। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
(আহৃত)