ফরিদপুরের সালথার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (৫০) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়াসহ (৫৭) ৫৯ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ রফিকুল ইসলাম, আলমগীর মিয়াসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে গত বুধবার রাত ও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ আহত হয়েছেন এবং ১৯টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি, সংঘর্ষে অংশ নিতে জনমনে চাপ দেওয়া, সংঘর্ষ ও হামলার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে ২০২২ সালের (২০১৮ সংশোধনী) দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ‘আরও অজ্ঞাতসংখ্যক’ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় গতকাল দিনভর অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম ও আলমগীর মিয়াসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন জামাল ফকির (৫৭), সাইফুল ইসলাম (৩৮), সৈয়দ রিয়াজুল হক (৪০), আকতার সিকদার (৬৫), সজীব মোল্লা (৩৪), হায়দার মোল্লা (৫৪) ও ফরিদ মোল্লা (২৭)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সালথা থানার এসআই আবুল বাসেদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৯ ব্যক্তিকে আজ আদালতে নিয়ে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালথার যদুনন্দীতে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে স্থানীয় লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের নেতা আলমগীর মিয়া। ১০ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত চার দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
(আহৃত)