ওয়ানডের মতো টেস্ট অভিষেকও মোস্তাফিজুরের স্মরণীয়। দুই ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ মোস্তাফিজুর রহমান। অথচ, সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত মোস্তাফিজুর রহমান টেস্টে অনিয়মিত।
টেস্ট অভিষেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেট (৪/৩৭) এ ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ২০১৭ সালে শ্রীলংকার মাটি থেকে বাংলাদেশ শততম টেস্ট জয় দিয়ে উদযাপন করেছে, সেই জয়ে অবদান রেখেছেন মোস্তাফিজ (২/৫০ ও ৩/৭৮)।
অথচ, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টেস্টে নিয়মিত মোস্তাফিজ এখন আর টেস্ট খেলতে চান না। মোস্তাফিজের অভিষেক থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ৩৯ টেস্ট। তার মধ্যে মোস্তাফিজের সার্ভিস পেয়েছে বাংলাদেশ মাত্র ১৪টি। ২০২১ সালের বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টেস্টে ছিলেন না মোস্তাফিজ, ২০২২ সালের চলমান চুক্তিতেও টেস্টে নেই মোস্তাফিজ।
করোনাকালে বাংলাদেশ খেলেছে ১১টি টেস্ট। এর মধ্যে মাত্র ২টি টেস্ট খেলেছেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেন্ডারি পেস বোলার অ্যালান ডোনাল্ড মোস্তাফিজকে টেস্টে ফিরিয়ে আনতে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ইনজুরির কারণে তাসকিন, শরিফুলকে বাংলাদেশ দল পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। আসন্ন শ্রীলংকার বিপক্ষে হোম সিরিজেও এই দুই পেসারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল।
টেস্টে দেশের সেরা তিন পেসারের অনুপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে বিসিবিকে। সে কারণেই ১৪ টেস্টে ৩০ উইকেট শিকারী মোস্তাফিজকে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে চাইছে বিসিবি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন -‘আমরা তার সাথে লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলব।’
দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচের চেয়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বেশি ক্রিকেটারদের। বড় অংক আয়ের হাতছানি আছে বলেই টেস্টকে উপেক্ষা করছে সাকিব, মোস্তাফিজরা। কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সিরিজ কিংবা সফরকে সামনে রেখে কারণে অকারনে ছুটির আবেদন করছেন তারা। সেই আবেদন গৃহিতও হচ্ছে। সে কারণেই ক্রিকেটারদের মতামতের স্বাধীনতা দেয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি।
(আহৃত)