আত্মা আছে কি নেই, তা নিয়ে বিজ্ঞানী ও ধর্মপথের পথিকদের সংঘাত বা মতান্তর বা বিরোধ আজকের নয়। সাধকেরা বরাবর পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে, আত্মা আছে এবং আত্মার অস্তিত্বই শাশ্বত, শরীর নশ্বর। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেন, এটা হতে পারে গভীর অনুভবের কথা, কিন্তু এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। প্রাচীন সেই সঙ্ঘাতেই আবার নবতম সংযোজন ঘটল।
সংযোজন ঘটালেন বিজ্ঞানী শন ক্যারল। তিনি একজন পদার্থবিদ্যাবিৎ এবং মহাকাশবিশেষজ্ঞ। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ান তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন সূত্রসমূহের চর্চা করে চলেছেন। তিনি পরিষ্কার বলছেন, মানবজীবনের সমস্ত জাগতিক বিষয়ই সম্পূর্ণ ভাবে পদার্থবিদ্যার নিয়মনীতি মেনে চলে। আর সেই নিয়মের কষ্টিপাথরে যাচাই করলে আত্মার কোনও অস্তিত্ব ধরা পড়ে না। আত্মার অস্তিত্স্বীকার করলে পদার্থবিদ্যার নিয়মকে অস্বীকার করতে হয়। আর সেটি কঠিন। কেননা, বিজ্ঞানে কোনও কিছুই স্বতঃসিদ্ধ নয়, সবই প্রমাণসাপেক্ষ।
শনের এই আত্মা-সম্পর্কিত মন্তব্যে তিনি শরীরের মৃত্যুর পরে কনশিয়াসনেস থাকা না থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। শন বলেন, মৃত্যুর পরেও যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও অস্তিত্ব মানতে হয়, তা সে আত্মা হোক বা অন্য কিছু, তা হলে কিন্তু পদার্থবিদ্যার নিয়ম বদলাতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, পৃথিবীর কোর দ্রুত ঠান্ডা হচ্ছে। ফলে, পৃথিবীর দিন ফুরিয়ে আসছে। ফলত, এই বিষয়ে ভাবাটাই বড় কথা। এই প্রেক্ষিতে মৃত্যুর পরের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবাটা এখন খুব জরুরি নয়।