পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরীফ। এতে ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই।
পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা পার্লামেন্টের নির্বাচন বর্জন করার পরও ১৭৪ জন আইনপ্রণেতার ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বচিত হন শেহবাজ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন পরিচালনা করেন পিএমএল (এন) নেতা আয়াজ সাদিক। পাকিস্তান পার্লামেন্টের দুই স্পিকার পদত্যাগ করার পর তিনি সভাপতি হিসেবে অধিবেশন পরিচালনা করেন।
আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর সাদিক বলেন, মিয়া মোহাম্মদ শেহবাজ শরীফ ১৭৪ ভোট পেয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আজ আমি শেহবাজ শরিফের নির্বাচনের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করে সম্মানিত বোধ করছি।
এর আগেও সাদিক এমন এক অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেছিলেন; যেখানে পিএমএল–এন নেতা এবং শেহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য দেন শেহবাজ শরীফ। এ সময় তিনি বলেন, পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়েছে। এবং মন্দের বিরুদ্ধে ভালো জয়লাভ করেছে। আজ সমগ্র জাতির জন্য একটি বড় আনন্দের দিন।
তিনি আরো বলেন, একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আইনি এবং সাংবিধানিক উপায়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নাটক চলছিল। একটি চিঠি নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে, যেখানে পিটিআই সরকারের পতনে বিদেশী ষড়যন্ত্রের প্রমাণ রয়েছে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি এটি দেখিনি বা কেউ আমাকে দেখায়নি।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এটি ছিল মিথ্য নাটক ও জালিয়াতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সাথে কোনো ষড়যন্ত্র যুক্ত ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে গত শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তা এবং মধ্যরাতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগের পর অনাস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।