1. admin@banglarakash.com : admin :
August 24, 2025, 3:54 am

বৈদেশিক এলসির দেনা ১০০৩২ কোটি টাকা

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
  • Update Time : Monday, May 30, 2022,
  • 89 Time View
Spread the love

করোনার নেতিবাচক প্রভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবসাবাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বৈদেশিক ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির বকেয়া দেনা বেড়েই চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এ খাতে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এই খাতে দেনা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে দেনা ছিল ৫৭ কোটি ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ কোটি ডলারে বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৩২ কোটি টাকা। আলোচ্য এ বছরে শুধু একটি খাতেই দেনা বেড়েছে ৫৭ কোটি ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৫ হাজার ১৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, এসব দেনা ছাড়াও করোনার কারণে যেসব বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোও রয়েছে। বর্তমান ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক ঋণ ও এলসির দেনার কিছু কিস্তি বৈদেশিক ব্যাংক বা গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। আর যেসব কিস্তি পরিশোধ করার মতো, সেগুলো পরিশোধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে বৈদেশিক ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির বকেয়া কিস্তির একটি অংশ ইতোমধ্যে পরিশোধিত হয়েছে। তবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আরও ৮ কোটি ডলারের এলসির দেনা নতুন করে বকেয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তবে করোনার পর বকেয়া বৈদেশিক এলসির দেনা যেভাবে বাড়ছিল, সেই গতি কমে এসেছে। আগে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রায় ২০ কোটি ডলার করে বাড়ত। গত জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৪ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে বেড়েছে ১৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বকেয়া এলসির দেনা আরও কমে যেত, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি আবার মন্দায় আক্রান্ত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে সব দেশই সতর্ক অবস্থানে চলে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানির নতুন আদেশ কম আসছে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে আগের রপ্তানি আয়ও দেশে আসার প্রবণতা একটু কমেছে। যে কারণে বকেয়া এলসির দেনা পরিশোধের গতি একটু মন্থর হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বকেয়া বৈদেশিক এলসির সবই রপ্তানি খাতের। রপ্তানির আদেশের বিপরীতে এসব এলসি খোলা হয়েছে। ফলে রপ্তানি আয় দেশে এলে আগে ব্যাংক ওই এলসির দেনা সমন্বয় করছে। কিছু ক্ষেত্রে রপ্তানি আয় দেরিতে এলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় যে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে ওই দেনার কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো দেনাই শর্তের বাইরে গিয়ে অপরিশোধিত থাকেনি। তবে ওই বাড়তি দেনা রপ্তানি আয় না আসায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ সংকট দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কারণ যুদ্ধের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। করোনার আঘাতও এখন আর নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তখন রপ্তানি আয়ও দেশে আসার হার বাড়বে। এলসির দেনাও পরিশোধিত হয়ে যাবে।

(আহৃত)


Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT