এস ইসলাম :
ফরিদপুরের চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই , মাদক এবং হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী দুর্ধর্ষ শেখ রিপন ও সোহেল মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুরের পুলিশ অফিসার কবির আহমেদ ।
ঘটনা সুত্র থেকে জানা যায়, গত ২৫/০৩/২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল দশটা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে যেকোনো একসময় ফরিদপুরের কোতয়ালী থানা দিন গোয়ালচামট ১ নং সড়কের এ কে এম জিয়াউর রহমানের বাস ভবনের মূল বাউন্ডারি টপকে রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সোহেল মাতুব্বর এবং রাস্তায় পাহারা দেয় শেখ রিপন । ঘরের ভিতরে থাকা আলমারি ভেঙে নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, একটা ল্যাপটপ, একটা হাত ঘড়ি এবং আলমারিতে থাকা দামি ২০ টা শাড়ি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায় ।
বাড়ির গৃহকর্তা এ কে এম জিয়াউর রহমান ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় চারদিন পর ২৫/০৩/২০২৪ তারিখে একটি চুরির প্রাথমিক এজাহার দায়ের করেন ।
মামলার তদন্ত অফিসার হিসেবে কোতয়ালী থানা কবির আহমেদকে নিযুক্ত করে, জানা যায় কবির আহমেদ ইতিপূর্বে বোয়ালমারী থানায় থাকাকালীন বহু চুরির মামলা নিষ্পত্তি করেছেন ।
এস আই কবির আহমেদ জানান, ফরিদপুর পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা মতে এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর মোঃ সালাউদ্দিন এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানার সার্বিক সহযোগিতায় এবং আমার বিভিন্ন বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে, কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়া নিরলস ১ মাস পরিশ্রমের মাধ্যমে, গোয়ালচামোট ১নং সড়কের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ফরিদপুর সিএনবি ঘাট নিবাসী চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই , মাদক এবং হত্যা মামলার আসামী দুর্ধর্ষ শেখ রিপন(৩৩), পিতা শেখ একলাছ কাদের এবং অপর আসামি সোহেল মাতুব্বর তোতন(২৮) পিতা মৃত সোলেমান মাতুব্বর, কাফুরা ফরিদপুর । উভয়কেই রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাট দৌলতদিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির কথা স্বীকার করে এবং চুড়াই মাল ফরিদপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কের, স্বর্ণনীর মার্কেটের শ্রীপর্ণা জুয়েলার্সৈর বসুদেব পালের নিকট এবং রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী, রুপা জুয়েলার্সের রাজীব কুমার দাসের নিকট স্বর্ণালংকার বিক্রয় করে। এছাড়া রাজবাড়ির দৌলদিয়া ঘাটের বিশ্বাস ফার্মেসির রমন বিশ্বাসের নিকট ল্যাপটপ বিক্রয় করে। আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয় এবং তারা চোরাই মাল ক্রয়ের কথা স্বীকার করে । মালামাল জব্দ করা হয়। উক্ত মামলার পাঁচ আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেয় এবং চুরির কথা এবং চোরাই মাল ক্রয়ের কথা স্বীকার করে। ২৬/০৪/২০২৪ তারিখে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তদন্ত অফিসারের কাছ থেকে জানা যায় শেখ রিপন ও সোহেল মাতুব্বর তোতনের নামে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই , মাদক এবং হত্যা সহ দশের অধিক মামলা রয়েছে। তাদের মামলাগুলো চলমান রয়েছে তারা জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে।