জমিজমা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে তারিখ দেওয়া সালিশ শুরুর আগেই প্রতিপক্ষকে প্রকাশ্যে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই শাজাহান বয়াতি (৬০) বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউপির সারিকখালী বসাক বাজারে উপস্থিত পুলিশ ও সালিশকারকদের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।
বিবাদীরা হলেন- কালিকাপুর সারিকখালী এলাকার বারেক হাওলাদারের ছেলে মো. জলিল হাওলানায় (৪৫), মো. বারেক হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার (৩০), মো. মনির হাওলাদার (৫০), মৃত আদম আলীর ছেলে মো. বারেক হাওলাদার (৬৮) এবং খালেক হাওলাদারের ছেলে মো. বশির হাওলাদার (৪০), মো. নাসির হাওলাদার (৫৫), মো. খবির হাওলাদার (৩০) ও মো. জাকির হাওলাদার (২৮), জামাল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. শাহিনুর বেগম (৩০) ও জলিল হাওলাদারের স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫)।
শাজাহান বয়াতি বলেন, বিবাদীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। পূর্ব তারিখ মোতাবেক আমরা হাজির হই। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে আমার ভাইকে মারধর করে জখম করে। তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে আমাদেরও মারধর করে।
তিনি বলেন, বিবাদীদের হাতে থাকা দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। পরে কোপটি চোখের নিচে লেগে জখম হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় দুইটি কোপ দেয়। ঠেকাতে গেলে আমার দুই হাত কেটে যায়। এছাড়া বিবাদী আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ এক লাখ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
শাজাহান বয়াতি বলেন, স্থানীয় ও সাক্ষীরা আমাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে ভর্তি রাখেন। আমার ছোট ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার এসআই হুমায়ুন যুগান্তরকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে থাকাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে জানতে পেরেছি উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।