বাংলার আকাশ ডেস্ক
ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য ও নিরাপদভাবে আয়োজনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বক্তারা মনে করেন, সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত হলেই নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর, ২০২৫) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তন কক্ষে ‘নির্বাচনে সুষ্ঠ ভোট নিশ্চিতকরণে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এই দাবি জানান। সেমিনারটির আয়োজক ছিল এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. রোকন উদ্দিন বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় দলীয় প্রশাসনই মূল ভূমিকা রাখে। এই কারণে নির্বাচন সুষ্ঠ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো জরুরি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন:
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার: দেশে এখনো বিপুল অবৈধ অস্ত্র ছড়িয়ে আছে, যা উদ্ধার না হলে নির্বাচনের আগে সহিংসতা বাড়বে।
দায়িত্বের স্পষ্টতা: দীর্ঘদিন মাঠে থাকার ফলে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, পারিবারিক জীবন ও মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ: রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় কোন্দল, দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন এবং পুরোনো ধরনের রাজনীতি পরিত্যাগ না করলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।